বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছন, সারা দেশে বিএনপির ডাকা সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে এই দেশের জনগণ একেবারেই চায় না এই অনির্বাচিত সরকার আর ক্ষমতায় থাকুক এবং এটাও প্রমাণিত হয়েছে দেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে, রাজপথের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা তাদের দাবি আদায় করবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে এবং দেশনেত্রীর মুক্তি আদায় করবে, একইসঙ্গে সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দাবি জানানোর যে প্রক্রিয়া আমরা শুরু করেছি, এতে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের অনির্বাচিত সরকার আক্রমণের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। আমার একটা বিশ্বাস জন্মেছে যে, এই কর্মসূচিগুলোর মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হয়েছে এই দেশের জনগণ আর একেবারেই চায় না এই অনির্বাচিত সরকার আর ক্ষমতায় থাকুক। তারা এভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করুক। এটাও প্রমাণিত হয়েছে এদেশের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে চায়। দুর্ভাগ্য আমাদের আজকে যে অনির্বাচিত মিডনাইট সরকার তারা পুরোপুরিভাবে এই দাবিকে এড়িয়ে গিয়ে তাদের যে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবার নীল নকশা সেটাকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সেজন্য অতীতের মতো নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন গুলিবর্ষণের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম, লড়াই তাকে ব্যাহত করতে চায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মসিউর রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।