বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকার দেশটাকে নরকে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ এখন দেশের প্রভু হয়ে থাকতে চায়।
তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত এ দেশের মানুষের মুক্তি আসবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে না।
আজ বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকার দেশকে বিএনপি শূন্য করতে বেপরোয়া অমানবিকতায় মেতে উঠেছে। জনকল্যাণ নয় বরং দাম্ভিকতা ও মিথ্যার বেসাতি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাশাপাশি বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দায়েরের মাধ্যমে দেশটাকে এখন নরকে পরিণত করেছে সরকার। এ ধরনের অপকর্মের উদ্দেশ্যই হচ্ছে- সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন, দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কেউ যেন প্রতিবাদী হতে সাহস না পায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ঘাড়ে জোর করে চেপে বসেছে বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়েরের মনুষত্বহীন সংস্কৃতি জোরদার করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা বিএনপির নেতা ও কলমা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তুহিন খন্দকার, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজিব খান এবং জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ ১৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তিনি।