দুর্নীতিবিরোধী আইন দৃশ্যমান, দ্রুত ও শক্তভাবে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি গণচীনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, জাতীয় স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে মান্নান আরো বলেন, ‘দুর্নীতি ইতিমধ্যে সারা দেশে আলোচিত হয়েছে।
দুর্নীতির ব্যাপারে আমি বলব, আইন আছে, বাস্তবায়ন করতে হবে, দৃশ্যমানভাবে, দ্রুত ও শক্তভাবে। গণচীন তাদের সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য, বিশ্বাস করার যায় না, কী পর্যায়ের মানুষ, তাকে তিয়ানানমেন স্কয়ারে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে, মেরেছে। বিচারের আওতায় গণচীন। আমাদের এগুলোতে শক্ত অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।সংসদ সদস্য এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারি ব্যয়ের মিতব্যয়ীতা দেখাবার, অনুশীলন করার খুবই প্রয়োজন আছে। আমাদের আমলাতন্ত্র বিশাল আমলাতন্ত্র। এই আমলাতন্ত্রে পরতে পরতে নানা ব্যয় আছে। অনেকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ, আমিও ওখানে ছিলাম।আমি যদি নিজেকে প্রশ্ন করি, তাহলে গাড়ি, বসার জায়গা, বসবাস, বিদেশ ভ্রমণ, সভা-সমিতি, সম্মানি, এসব ক্ষেত্রে আমি সরকরের প্রতি আহ্বান জানাব, মিতব্যয়ীতার দিকটাকে দৃশ্যমানভাবে অনুশীলন করার জন্য। জৌলুস, অপচয় আরেকটা দিক। কোনো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ, যেখানে জবাবদিহি চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত, সেখানে আমাদের দেশের এটা দেখা যায় না।’
সাবেক আইজিপি বেনজীর ও মতিউর রহমানের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক এই আমলা বলেন, ‘আমাদের সরকারের, বিশেষ করে আমাদের আমলাতন্ত্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। সম্প্রতি কয়েকটি উদাহরণ অত্যন্ত পীড়াদায়ক আমাদের জন্য।
আমি নিজেও আমলাতন্ত্রে ছিলাম, আমার অপরাধবোধ আছে। এসব ব্যক্তি যেসব আর্থিক ক্ষতি করেছে, সেটা হয় তো আমরা পুষিয়ে নিতে পারব। কিন্তু নৈতিকভাবে তারা যে ক্ষতি করেছেন, আমাদের দেশের, আমাদের আমলাতন্ত্রের প্রতি, তারা সরকারের কেন্দ্রে অবস্থান করে যেসব কাজ করেছেন, এগুলো যেকোনো সংবেদনশীল সমাজের জন্য অত্যন্ত চিন্তার ও শঙ্কার বিষয়। এদিকে আমলাতন্ত্রের সব বিভাগেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’