দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে আবারও দুদিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘আগামী মঙ্গল ও বুধবার গণসংযোগ করব। লিফলেট বিতরণ ও মানুষের দ্বারে যাব।’
মঈন খান বলেন, ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
ক্ষমতাসীনরা ডামি প্রার্থী দিয়ে কৃত্রিম প্রতিযোগিতা করেও ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে পারেনি দাবি করে বিএনপি এ নেতা আরও বলেন, ডামি প্রার্থী, ডামি ভোটার ও ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে সরকার যে নির্বাচন করেছে তা সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটার শূন্য কেন্দ্রে ডামি ভোটারদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
একদলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না তা আবারও প্রমাণ হয়েছে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, সরকার ধারাবাহিকভাবে ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর তাদের আস্থা কেড়ে নিয়েছে। ভোট বর্জন করে সরকার ও তাদের নির্বাচন যে ভুয়া তা জনগণ প্রমাণ করেছে। এ নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারকে বলা যায় ‘অফ দ্যা ডামি, বাই দ্যা ডামি, ফর দ্যা ডামি’।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ২৭ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটের ঘোষণা মিথ্যা প্রকাশ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের বক্তব্যে। কানে কানে শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্যই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শতকরা কতভাগ ভোট পড়েছে এমন প্রশ্নে মঈন খান বলেন, সরকার যে সংখ্যা বলে দেবে কমিশন তাই বলবে। সেক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ ভোট কাস্ট দেখান অর্থহীন ফিগার।
‘ভোটের অনিয়মের পর ৪০ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ৪-৫টা কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ করে ইসি তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের ব্যর্থ চেষ্টা করেছ, এটা হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রমাণ হয়েছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়’, যোগ করেন মঈন খান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও বেগম সেলিমা রহমান।