সম্প্রতি জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে নোয়াখালীর আঞ্চলিক রাজনীতি। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথা থাকলেও নিজেদের কাদা ছোড়াছুড়িতে বিব্রত আওয়ামী লীগ।
এবার এই ইস্যুতে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দলের জন্য কেউ বোঝা হতে চাই না। কেউ দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বেও নয়।’ শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
রাজনীতি একটি বহুমাত্রিক মহাসড়ক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক চেতনায় আমাদের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু এ সব মতপার্থক্য আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। সেটা অবশ্যই সাংগঠনিক পরিমণ্ডলে হতে হবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।
সীমারেখার মধ্যে থেকে দলীয় শৃঙ্খলার অনুশাসন মেনে চলতে হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিজস্ব সীমারেখা রয়েছে। কথায়, আচরণে, বক্তব্যে নিজের সীমারেখা অতিক্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, দল করতে হলে সবাইকে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা তথা দলের রীতি-নীতি ও গঠনতন্ত্র মেনে চলতে হবে।
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে নালিশ করে বিএনপিই দেশকে নতজানু করেছে, আওয়ামী লীগ নয়। বিএনপি নিজেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং এ তত্ত্বের অনুসারী বলে সবক্ষেত্রে গন্ধ খোঁজে।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির অপমৃত্যু তো সেদিনই হয়েছে, যেদিন তারা সরকার পরিবর্তনের জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশি শক্তির কাছে নৈতিক সমর্থন চেয়ে বিবৃতি দিয়েছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার আঘাত মোকাবিলায় যারা শেখ হাসিনাকে পরাজিত দেখতে চেয়েছিলেন আজ তারাই পরাজিত হয়েছে। করোনা সংকট মোকাবিলায় সময়ের সাহসী নেত্রী হিসেবে বিজয়ী বীর হিসেবেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ইতিহাস মনে রাখবে।
বাতাসে এখনও ষড়যন্ত্রের গন্ধ, অশুভ শক্তি সরকার হঠানোর চক্রান্তে লিপ্ত জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেদের ঐক্য সুসংহত করতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের সমৃদ্ধির পথে যে যাত্রা তা এগিয়ে নিতে হবে। আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালো আচরণ, শৃঙ্খলাবোধ এবং ঐক্যবদ্ধতার শক্তি দিয়ে জয় করতে হবে।