তিনটা সমাবেশ করতেই সরকারের কম্পন শুরু হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সমাবেশ বন্ধ করতে বাসসহ পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছে সরকার। লজ্জা করে না আপনাদের? বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করতে আপনারা পেটুয়া ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন। চট্টগ্রামে ধর্মঘট, ময়মনসিংহে ধর্মঘট, খুলনায়ও ধর্মঘট ছিল। কিন্তু ধর্মঘট দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকে রাখা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে বরিশালে ধর্মঘট ডেকেছে। কারণ, সমাবেশ যেন পণ্ড করা যায়। রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে বাস শ্রমিকদের দিয়ে। কারণ, যেন রংপুরের সমাবেশকে বন্ধ করা যায়। আমি বাস মালিকদের বলব, আপনারা সব সময় জনগণের সেবা করেন, আপনারা জনগণের সঙ্গে বরাবরই ছিলেন। আজকে চালের দাম ১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা হয়েছে, ডালের দাম বেড়েছে, ডিমের দাম বেড়েছে, চিনির দাম বেড়েছে। আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের একটা ডিম পর্যন্ত দিতে পারেন না। তাহলে কার ইঙ্গিতে, কাদের সহায়তা করতে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সহায়তা করবেন? জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের ভোগান্তি করবেন না। ’
এ দেশে কোনো নির্বাচন ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে কোনো নির্বাচন নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে। একটা নির্বাচন কমিশন করেছে, যাকে ডিসি-এসপিরাই মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই আসে না। সবার আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে দিতে হবে এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিষ্কার কথা, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে তখন আবার নতুন করে এ দেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে, তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। ’
যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাবেক নেতা আবদুস সালাম আজাদ, সাইফুল আলম নিরব, মীর আলী নেওয়াজ, মোরতাজুল করীম বাদরু, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুবদলের মামুন হাসান, কামরুজ্জামান দুলাল, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মওলা শাহিন, ইছহাক সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।