চারপাশ থেকে জনগণ চাপতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নাগরিক সমাবেশের সভাপতি ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘তাকিয়ে দেখেন, চারপাশ থেকে জনগণ চাপতে শুরু করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি আপনার লোকচুরি বন্ধ করেন। আপনাকে আপনার পিতার অমর বাণীটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- “আর দাবিয়ে রাখাতে পারবা না”।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আইনমন্ত্রী তার পিতার ‘কুলাঙ্গার’ সন্তান বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক সমাবেশের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আপনার পিতা সিরাজুল হক সাহেব সত্যের জন্য যেকোনো সময় কথা বলতে ভয় পাইনি। তাহলে আপনি কেন সত্য কথা বলতে ভয় পান?’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আজকে আমার সকল কথা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। যদি আমার কথায় আপনি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন। তাহলে আমার নামে একটি মামলাও করতে পারেন। মামলা করার সময় ৫ হাজার টাকা কোট ফি দিতে ভুলবেন না।’
বিচারপতির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজ কিশোরের যে রায়টি দিয়েছেন সেটি অসম্পূর্ণ রায় । যারা সংবিধান ভঙ্গ করেছেন। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন। এটি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আজকে কিশোরের মুক্ত হয়েছে। আমি আনন্দিত। কিন্তু আমি চিন্তিত বটেও। লেখক ও কলামিস্ট মোস্তাক আহমেদে মৃত্যুর আগে তার পরিবারকে বলেছিল আমার কথা চিন্তা করো না, কিশোরের কথা চিন্তা কর না। কিন্তু তারই মরতে হলো।’ এসময় আজকে বিভিন্ন অজুহাতে যাদেরকে বন্দী করে রাখা হয়েছে তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমাদের কারো হাতে ইট পাথর লাঠি নেই। আমরা নিরস্ত্র। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই। আজ আমরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্দেশে পথযাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। দায়িত্ব হলো, আপনারা দায়িত্ব নিয়ে, পাহারা দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দেওয়া। ওনার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেওয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যকে এসপি পদমর্যাদা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ-সুবিধা করে দিবো। আপনাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সুব্যবস্থা করে দেবো। আপনারা সরকারের পাশে নয়, আমাদের পাশে, জনগণের পাশে থাকুন।’
এসময় আরও বক্তব্য দেন—নাগরিক ঐক্যের মাহামুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েক সাকী, আলোকচিত্রী শহিদুল, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।