শ্রমিকরা যখন আদালতে গেছেন, তখন আদালতের বাইরের দুজন শ্রমিক নেতাকে ছয় কোটি টাকা ঘুস দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘শরণার্থীর জবানবন্দি ১৯৭১’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, মালালা ইউসুফজাই ১২ না ১৪ বছর বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন। কখন আট বছরের ছেলেকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়, সেটির আশঙ্কাও লোকজন করছেন।
ড. ইউনূস একজন নোবেলজয়ী, তার বিরুদ্ধে দেওয়া রায় নিয়ে আপনার মতামত কী, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে অনেক নোবেলজয়ী ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অনেকে অনেক জেলও খেটেছেন। ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাচ্ছি, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার জন্য। তিনি শ্রমিকের পাওনা বুঝিয়ে দেননি বহু বছর ধরে। এরপর যখন শ্রমিকরা যখন আদালতে গেছেন, তখন আদালতের বাইরের দুজন শ্রমিক নেতাকে তিন কোটি, তিন কোটি ছয় কোটি টাকা ঘুস দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন।
‘কিন্তু দুজন শ্রমিক নেতা টাকা পেলে তো হবে না, কারণ সাধারণ শ্রমিকরা তো কোনো টাকা পাননি। সে কারণে সাধারণ শ্রমিকরা মামলা করেছেন। সেই মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এখন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে নানান কথা হয়। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও অনেক কথা বলেন।’
কাজেই নোবেলজয়ী যদি শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে না দেন, তাহলে কী তার বিরুদ্ধে মামলা হবে না, প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আশা করি, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও এ নিয়ে কথা বলবে না। শ্রমিকের অধিকার ও পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মামলা হয়েছে।