গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের অন্যতম উপাদন হলো নির্বাচন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ। তার আগে সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না এটি আমাদের স্পষ্ট কথা।
শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা পরিষদ কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদ জেলা ও মহানগরের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অন্তর্বতীকালীন সরকারকে এনজিও সরকার উল্লেখ করে মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি আলাপ একই সঙ্গে হতে হবে। কেউ কেউ গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচন নয়, এমনটি বলছেন। স্বৈরাচার হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতারা ভারতে পালিয়ে গেছে। তারা যদি দেশে না আসে, তাহলে কি আপনারা নির্বাচন করবেন না। গণহত্যার বিচারে গত সাতমাসেও প্রত্যাশা অনুযায়ী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত সরকার নির্বাচন নিয়ে কোন রোডম্যাপ প্রকাশ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি স্বৈরাচরের দোসর। এই দল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। রংপুরবাসীকে বলবো, জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে এসে গণঅধিকার পরিষদের ছায়াতলে চলে আসুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উচ্ছতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীবসহ অন্যরা।