তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হলেও প্রতিষ্ঠার ২৭ বছর পরও ঐক্য ধরে রেখেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। আমি রাজনৈতিক কর্মী, তারপরও চাই আগামী ৫০ বছর ডিআরইউয়ের এই ঐক্য বজায় থাকুক।
আজ বৃহস্পতিবার ডিআরইউয়ের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক এক করে ২৭ বছর কেটে গেছে। ২৭ বছরের এই পরিক্রমায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ঐক্যবদ্ধ থেকেছে, রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়নি। আমি মনেকরি এটি অত্যন্ত বড় সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, রিপোর্টারদের সংগঠন হচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি। কোনো গণমাধ্যমের প্রাণ হচ্ছে রিপোর্টাররা। রিপোর্টাররা যদি সঠিক সংবাদ সংগ্রহ না করেন, তাহলে সেটি সঠিকভাবে এডিট করার তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং রিপোর্টার মাঠে-ময়দানে এবং তৃতীয় নয়ন দিয়ে দেখে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। সেই রিপোর্ট কাগজে, টেলিভিশন-রেডিও, অনলাইনে প্রকাশিত হয়। অনেক রিপোর্টার অত্যন্ত মেধাবী। তারা চমৎকার রিপোর্ট করেন, যেগুলো নিয়ে সমাজ কখনো ভাবে না। সেদিকে দৃষ্টিনিপাত করতে রিপোর্টারদের অনেক রিপোর্ট দেশ, রাষ্ট্র, সমাজ সবাইকে উপকৃত করে।
তিনি বলেন, আমি রাজনীতির মানুষ। আমি রাজনীতি করি, একটি দলও করি। আমি দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এরপরও আমি চাই না রাজনৈতিকভাবে এই সংগঠন কখনো বিভক্ত হোক। কারণ এটির ঐক্য, সংহতি টিকে থাক। এটি আমার প্রত্যাশা। গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যমের সঠিক বিকাশ, গণমাধ্যম সঠিকভাবে কাজ করলে রাষ্ট্র বিকশিত হয়, সমাজ বিকশিত হয়, মানুষ উপকৃত হয়। সে কথা মাথায় রেখে আমাদের সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ১৩ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে ১০টি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, এখন প্রায় ৩৮টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন সম্প্রচারে আছে, আরও কয়েকটি সম্প্রচারে আসছে। বেসরকারি রেডিও ছিল না, এখন ১২টির বেশি এফএম রেডিও রয়েছে। কমিউনিটি রেডিও ছিল না, এখন বেশ কয়েকটি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচারে আছে। পত্রিকার সংখ্যা সাড়ে ১৩ বছরে সাড়ে চারশ থেকে সাড়ে ১২শ হয়েছে।
ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদ নুরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিকারক ও মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সভাপতি শারমীন রিনভী প্রমুখ।