বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি জেলে না মুক্ত? মুক্ত হলে হুইলচেয়ারে করে চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যদি মুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে দেশবাসীর প্রত্যাশা কী ছিল? জিয়ার কবর জিয়ারত করার জন্য খালেদা জিয়াকে অন্তত হুইলচেয়ারে করে চন্দ্রিমা উদ্যানে নিয়ে যাবেন। উনি (খালেদা জিয়া) কি যেতে পেরেছেন? আরো সুন্দর হতো ওনার হুইলচেয়ার যদি জাইমা (তারেক রহমানের মেয়ে) ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেত। সেটা যদি হতো তাহলে আজ এখানে ঝড় বইত, সেই উত্তাল ঝড়ে ভোট ডাকাতরা ভারতে পালিয়ে যেত। আর যদি খালেদা জিয়া বন্দি থাকেন, তাহলে তাকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন।
আজ বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া সাহসী মহিলা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রথমবার যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন আমি বলেছিলাম ট্রানজিট দিয়েন না। তিনি আমার পরামর্শ নিয়েছিলেন। আজকে দেখেন ট্রানজিটে কী পরিমাণ লুট হচ্ছে। এ জন্য বলি, আমাদের খালেদা জিয়াকে দরকার। ওনাকে আরো ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। যদি ছয় মাস জেল স্থগিত করা হয় তাহলে তো উনি মুক্ত। ছয় মাসের জন্য যদি মুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কবে থেকে মুক্ত বা কবে থেকে মুক্ত হবেন?
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, মিনমিন করা বাদ দেন, মাঠে নামেন। এই ভোট ডাকাতদের সরাতে চাইলে লাঠিসোঁটা যা আছে নিয়ে নেমে পড়ো। ভোটডাকাতরা পালিয়ে যাবে।
ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, বর্তমান ভোট ডাকাতদের সরিয়ে অন্য কাউকে আনলে হবে না। একটা সুষ্ঠু সরকার প্রয়োজন। যেখানে জনগণের অধিকার থাকবে। আমার ভোট আমি যাকে ইচ্ছা তাকে দেব। ধর্মের নামে অনাচার হবে না।
আলেমদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক। আপনাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। অন্যরা দোষ করলে দোষ কম হয়, আপনারা দোষ করলে দোষটা বেশি হয়। আপনারা আমাদের নেতা। মেয়েদেরকে আটকিয়ে রাইখেন না। যে নামাজ পড়ে না তার বিচার করার দায়িত্ব আপনাদের না। খোদা বিচার করবেন।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।