নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়া পরিবার, খুনি পরিবার হিসেবে চিহ্নিত। খুনি জিয়া যে হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া একই পথে হেঁটেছেন। প্রতিমন্ত্রী আজ রবিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুনিরা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। খুনিদের বাংলার জনপদ ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হয়েছে। ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার খুনিদের খুঁজে বের করে বিচার করা হবে এবং দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে নৌ সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান ও টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল উপস্থিত ছিলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর বঙ্গব্ন্ধুকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে করা না যায়, সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ প্রশস্থ করে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা সম্ভব এবং সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী পরে গিমাডাঙ্গা নাসেরিয়া ফাজিল মাদরাসা ও এতিমখানায় খাবার বিতরণ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু মাজার মসজিদ কমপ্লেক্সে দোয়া মাহফিল এবং শেখ রাসেল দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ, ক্রীড়া ও ব্যবহার্য সামগ্রী বিতরণ করেন।