জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ জোর করে নির্বাচনে নিয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘আমরা কখনোই আওয়ামী লীগের দোসর ছিলাম না, আমরা সব সময় জনগণের দোসর ছিলাম। ২০২৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের বাধ্য করা হয় নির্বাচনে যেতে, এটা সবাই জানে।’
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে জাতীয় মহিলা পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, ‘দ্বাদশ নির্বাচনের আগে ১৭ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, আমরা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার লোকজন আমাদের অফিস ঘেরাও করে রাখে। আমাদের সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করতে দেয়নি। জোর করে নির্বাচনে নেওয়ার কারণে আমাদের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আমরা জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন বর্জন করতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচন জাতীয় পার্টি বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের মধ্যে আমিসহ ২৭০ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাইনি এবং সংসদেও যাইনি।তখন আওয়ামী লীগ আমাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চেয়েছিল, আমি রাজি হইনি।’
জাপার নেতা বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলে থেকেই ৫টি আসনে জয়লাভ করেছিলেন। ৫টি আসনের জনগণ এরশাদকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে, তাকে আপনারা কিভাবে স্বৈরাচার বলেন? আপনি যদি গণতন্ত্রমনা হন, তাহলে এরশাদকে কখনোই স্বৈরাচার বলতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন জননন্দিত নেতা। কোনো নির্বাচনে তিনি পরাজিত হননি।প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচিত করে জানিয়ে দিয়েছেন, এরশাদ কখনোই স্বৈরাচার ছিলেন না। ’৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মাঠে থাকতে পারেনি, তার পরও এরশাদ সাহেব জেলে থেকেই পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি ওই নির্বাচনে ৩৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল।’
প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময়সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।