তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জলে স্থলে অন্তরীক্ষে দেশের বিজয়কেতনের ভিত রচনা করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর হাতে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপনে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সূত্রপাত, আনক্লজের সদস্যপদ গ্রহণের ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তির ফলে ছিটমহল সমাধান হয়েছে, উল্লেখ করেন ড. হাছান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিএল আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলসমূহের সম্প্রচার শুরুর ২য় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসকল কথা বলেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, অনলাইনে যুক্ত ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের ১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে দেশের প্রথম যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে ৫৭তম নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হয় বাংলাদেশ। টিভি চ্যানেল মালিকদের এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সবাই নিজ দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে পেরে গৌরব অনুভব করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অচিরেই দেশের দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও তৃতীয় স্যাটেলাইটের প্রস্তুতি দেশকে অনেক এগিয়ে নেবে।’
মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, দেশে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সেই ধারার যুগোপযোগিতা বজায় রেখে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করছেন, স্যাটেলাইটের অধিকারী করেছেন।
এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বিএসসিএল এর সাথে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিএসসিএল চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী ড. শাহজাহান মাহমুদ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যত পথনকশা বিশেষ করে দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রচারের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
আলোচনা শেষে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।