(ঢাকা, মঙ্গলবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ভূমিমন্ত্রী হিসেবে নারায়ন চন্দ্র চন্দ আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অপরাহ্ণে প্রথমবারের মত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এসময় সংসদ অধিবেশন পরিচালনা করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশন চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ছিন্নমূল, ভূমিহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাসজমি বণ্টন সংশ্লিষ্ট ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে ভোলা জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ছিন্নমূল, ভূমিহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাসজমি বণ্টনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চলতি অর্থবছরে লালমোহন উপজেলায় ৩০৭টি ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩৫৮টি ছিন্নমূল পরিবারের মধ্যে সরকারি খাসজমিতে একক গৃহ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় হতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গৃহ নির্মাণ সম্পন্ন হলে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার ছিন্নমূল, ভূমিহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
একই সংসদ সদস্যের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী জানান, যেসব এলাকায় নদী ভরাট হচ্ছে সেসব এলাকায় পরিবেশগত কারণে নদীর নাব্যতা রক্ষাই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নদী সংশ্লিষ্ট ভূমির বাইরে, অন্যান্য খাস জমির ক্ষেত্রে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃত দরিদ্র ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।
চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মু: জিয়াউর রহমানের জলমহাল সংশ্লিষ্ট এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ‘জাল যার, জলা তার’। সেই নীতির উপর ভিত্তি করেই প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে জলমহাল ইজারার জন্য নীতিমালা রয়েছে (সরকারী জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯)। অনিয়মের ব্যাপারে আপত্তি জানালে সেই অনুযায়ী যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির তালিকা সংশোধন করা হবে এবং নিবন্ধিত প্রকৃত মৎস্যজীবীরাই জলমহাল বরাদ্দ পাবেন বলে জানান মন্ত্রী।
উপজেলার চর এলাকায় সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি সংশ্লিষ্ট পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদার সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে ভূমিমন্ত্রী জানান যথাযথ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিজিটাল জরিপের সাহায্য সীমানা নির্ধারণের সুযোগ রয়েছে।