দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দফায় দফায় আলোচনা চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির (জাপা)। বিষয়টিকে প্রেমের সঙ্গে তুলনা দিলেন জাপা মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। এ ছাড়া তিনি জানালেন, বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করার চিন্তা করেছিলেন।
আজ শনিবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মুজিবুল হক চুন্নু।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বার বার আলোচনা কী বিষয়ে- জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেমের চিঠি লিখব, এটা কি বাবা-মাকে প্রথমে বলা যায়? আত্মীয়-স্বজনকে বলা যায়? বলা যায় না। পরে যখন হয়ে যায়, তখন বলা যায়।’
এই প্রেমের সম্পর্ক কতদূর এগিয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘প্রেম এমন সম্পর্ক; প্রেম হয়, বিরহ হয়। আবার গভীর হয়, আবার বিরহ হয়। প্রেমের তো শেষ পরিণতি বিয়ে।’
প্রেমে আপনারা কি রোল প্লে করছেন, নায়ক না নায়িকা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রেমে সবাই কিন্তু নায়ক হতে চায়। আমিও কিন্তু মনে মনে ভাবি, আহা যদি সালমান খান হতে পারতাম বোম্বের। বিয়ের আগে চিন্তা করেছিলাম, বাংলাদেশের সব থেকে সুন্দরী মেয়েটাকে বিয়ে করব। তবে অত সুন্দরী না (চুন্নুর স্ত্রী), তবে কাছাকাছি।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘৭ তারিখের (ভোটগ্রহণের তারিখ, ৭ জানুয়ারি) আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভোটের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। কাল হয়েছে, আজকেও হবে, এরপরেও হবে। ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্দ, তারপরেও হবে। আমরা দৃষ্টান্ত রাখতে চাই, ভোটে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, কিন্তু ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্য দুই দলই প্রয়োজনে আমরা মাঝেমধ্যে বসব। আমার কৌশল সবগুলো কি প্রকাশ করব? এটা কি কেউ করে?’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করিনি। আগেও বলেছি, এখনো বলছি। নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি নিয়ে সময়ে সময়ে কথা বলেছি আওয়ামী লীগের সঙ্গে। আপনারা যেটা ইঙ্গিত দিলেন, সেটাও অনেক সময় হয়। সংসদীয় রাজনীতিতে অনেক সময় দেখা যায় স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার পদে যারা থাকেন তাদের আসনে নির্বাচন করেন না।’
উদাহরণ দিয়ে চুন্নু বলেন, ‘ব্রিটিশ সংসদে এই ধরনের একটা নজির আছে। ভারতীয় সংসদসহ অনেক সংসদে দেখা যায় অনেক বিজ্ঞ বিজ্ঞ লোক আছেন। সেখানে দেখা যায় ভালো লোক যারা, ভালো সংসদ সদস্য- তাদেরকে অনেক সময় ছাড় দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘এটা তো ঠিক, সব দল তার নিজস্ব প্রয়োজনে যে কোনো টেকনিকে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বললে সবাই নিজের সুবিধাটা পেতে চায়। সেটা তো সবার বেলায় ঠিক।’