‘গণটিকা দেখে বিএনপি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়েছে’ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের এই বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির কোনো নেতা জ্ঞান হারিয়ে হাসপাতালে গেছেন এটা কি দেখাতে পারবেন? আপনারা গণটিকার নামে যে অব্যবস্থাপনা তৈরি করেছেন, হাজারো মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা পাচ্ছে না। আগে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে তারা এসএমএস পাচ্ছে না। এসব আড়াল করতেই বিরোধী দলকে টার্গেট করছেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগর বিএনপির কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টার থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে মানুষকে টিকা দিতে না পেরে বিরোধী দলকে দোষারোপ করে সরকার পার পেতে চাচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম ঢাকতেই হাছান মাহমুদ সাহেবরা এসব কথা বলছেন। তাদের কথার মধ্যে দিয়েই এটা প্রমাণিত। দেশব্যাপী গণটিকার জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা তারা পারেননি। তারা আমলা নির্ভর হয়ে পড়েছেন। সেজন্য করোনার সহযোগিতা দরিদ্র জনগোষ্ঠি পাচ্ছে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মফস্বলে যারা করোনায় আক্রান্ত তারা ওষুধ, সুরক্ষা সামগ্রী কিছুই পাচ্ছে না। হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না, অক্সিজেন পাচ্ছে না। একটা বিপন্ন অবস্থা। হাছান মাহমুদ সাহেবরা এসব এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বিরোধীদলকে টার্গেট করেন।
নিজের টিকা নেওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রিজভী বলেন, হাছান মাহমুদ সাহেব আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, লজ্জা শরম ভেঙে প্রকাশ্যে টিকা নিচ্ছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে যে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা নিশিরাতের ভোট করে কানেও কম শোনেন, চোখেও কম দেখেন। না হলে কে কি বক্তব্য রাখছেন সেটা ভালো করে তারা শোনেন না। আমরা বলেছি অ্যাস্ট্রাজেনেকার যে টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বানিয়েছে সেই টিকা নেব না। কারণ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম বলেছে ওই টিকা ট্রায়াল বেসিসে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আমাদেরকে গিনিপিগের মতো ব্যবহার করা হবে। সেজন্য আমি বলেছিলাম যে সেরামের টিকা নেব না। সেই মার্চের দিকে যে বক্তব্য দিয়েছিলাম সেটা মন্ত্রী ভালোভাবে শুনেননি। সেজন্য উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। আমি এখন যে টিকা নিয়েছি সেটা মডার্নার টিকা।
এ সময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সালাহ উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মো. সোহরাব উদ্দিন, প্রথম যুগ্ম-আহবায়ক মো. শওকত হোসেন সরকার, যুগ্ম আহবায়ক মো. হান্নান মিয়া হানু, জয়নাল আবেদীন তালুকদার, সরকার জাভেদ আহমদ সুমন, রাশেদুল ইসলাম, সদস্য মো. আব্দুর রহিম খান, মো. রবিউল আলম, সাজ্জাদুর রহমান, শাহাদাত হোসেন শাহিন, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন ও আব্দুর রহিম।