বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই তাদের বিদায় দিতে হবে। এখন তাদের মধ্যে কম্পন শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে আন্দোলনের সূচনা করতে হবে। দিনক্ষণ বলে কর্মসূচি হয় না। যে কর্মসূচির মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটবে, সেই কর্মসূচি আসবে। আমরা নেমে গেছি মাঠে, বাড়িতে আর ফিরে যাব না। এটাই কর্মসূচি।
আজ শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে জিয়ার খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, আপনাদের কোনো ভবিষ্যত নেই। আপনারা যতই লাঠিপেটা করেন, গুম-খুন করেন, হত্যা করেন- দেশের মানুষ কিন্তু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। আমি এদের সরকার বলি না। এরা সরকার নয়। কারণ গণতন্ত্রে সরকার গঠন করে রাজনৈতিক দল। কিন্তু এরা কারা? কিছু দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, কিছু দুর্নীতিবাজ লোকজন- এরা সরকার নয়, এটা একটা মাফিয়া রেজিম।
তিনি বলেন, আমাদের এটাও বলতে হবে বীর উত্তম দিয়ে জিয়াউর রহমান গৌরবান্বিত হয় নাই। বীর উত্তম খেতাব গৌরবান্বিত হয়েছে। এ খেতাবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে বড় ছোট করার কোনো সুযোগ নাই। এ খেতাবে জিয়াউর রহমানের কোনো কিছু আসে যায় না।
জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারা বলছে ‘উনি (জিয়াউর রহমান) নাকি সংবিধানের লঙ্ঘন করেছেন। অসংবিধানিক কাজ করেছেন। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে অনেক বড় বড় নেতা আগামী দিনে যারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলাদেশের সংবিধানকে এক দলীয় করেছেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। যারা প্রেসিডেন্টের হাত থেকে বিচার বিভাগের ক্ষমতা তুলে নিয়েছেন, যারা রক্ষী বাহিনীকে ইনডেমিনিটি দিয়েছেন তাহলে কন্সটিটিউশনের পয়েন্টে জিয়াউর রহমানের খেতাবের কী আসে?
সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানকে ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামী নেতাজী সুভাস বসুর সঙ্গে তুলনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘ইতিহাসে দু’জন বাঙালি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। একজন হচ্ছেন নেতাজী সুভাস বসু। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আরেকজন হচ্ছেন জিয়াউর রহমান। আর কোনো বাঙালি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি। সমস্ত বাঙালিকে যুদ্ধক্ষেত্রে আর কোনো বাঙালি ডেকে আনেননি। কই, ভারতীয়রা তো নেতাজী সুভাস বসুকে অসম্মান করেনি। তার নামে বিমানবন্দর আছে।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, মহনগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।