চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে সরকার খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিএনপির সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় এদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ও পশ্চিম মালিবাগে দুটি খাসি ও দুটি ছাগল জবাই করে এতিমখানা ও দুস্থ মানুষের মাঝে গোশত বিতরণ করেন রুহুল কবির রিজভী।
এ উপলক্ষে মোহাম্মদপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, দেশে যে ভয়াবহ দুঃশাসন চলছে এ অবস্থায় প্রতিটি মানুষ ভয়ের মধ্যে আছে। বর্তমানে দেশে কারও কথা বলার স্বাধীনতা নেই, মানুষের সরকার পরিবর্তন করার কোনো অধিকার নেই। এ কঠিন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে জোর করে বন্দী করে রেখেছে। তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার কারণে তিনি বন্দী। এই মূহুর্তে বিদেশে সুচিকিৎসা জরুরী। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অনুমতি না দিয়ে বেগম জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।
অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের জনগণ তার কাছ থেকে সরে গেলে তিনি মারা যাবেন। আমরা আপনার মৃত্যু চাই না। তবে আপনার সঙ্গে জনগণ নেই। বহু আগেই আপনার দল আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে। জনগণ আপনার সরকারের অনাচার অত্যাচারের বিচার চায়।
মোহাম্মদপুরে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জৈনপুরী পীর সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এ সময় ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, সদস্য মাহবুবুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিকসহ অন্য নেতারা।
আর মালিবাগের অনুষ্ঠানে ছিলেন দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, যুবদল নেতা সাঈদ ইকবাল মাহমুদ টিটু, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, আহসান উদ্দিন খান শিপন, আসাদুজ্জামান পলাশ, মেহেবুব মাসুম শান্ত, স্বেচ্ছাসেবক দলের সারোয়ার ভুইয়া রুবেল, গোলাম মোর্শেদ রাসেল, মেহের কায়সার রানা, ছাত্রদলের সহ সভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ছাত্রদলের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।