English

21 C
Dhaka
বুধবার, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
- Advertisement -

খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানে মির্জা ফখরুল

- Advertisements -

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় এসেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে তিনি ‘ফিরোজা’য় আসেন।

বিএনপি মহাসচিব ফিরোজার সামনে এসে নেতা-কর্মীদের রাস্তার মাঝখান থেকে সরে যেতে বলেন। তাদের রাস্তা ফাঁকা করে দুই পাশে দাঁড়াতে বলেন তিনি।

চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ফিরোজা থেকে বেরিয়ে যান মির্জা ফখরুল।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সভাপতি আমিনুল হক, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে ফিরোজা ও এর আশ পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। বিকেল থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের উপস্থিতিও বাড়ছে।

‘ফিরোজা’ থেকে রাত ৮টায় বেরিয়ে একটি গাড়িতে করে গুলশান ২-এর গোল চত্বর ও বনানী-কাকলী হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবেন খালেদা জিয়া।

বিমানবন্দরে তার আগমন ও বিদেশযাত্রা ঘিরে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের পাশাপাশি থাকবেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ডিবি ও সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমের সদস্যরা। এছাড়া অন্যান্য সংস্থার সদস্যরাও থাকবেন নিজ নিজ দায়িত্বে।

তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার শরীরের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হসপিটালেই লিভার প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দেয়।

সে হিসাবে তিনি আজ লন্ডন যাচ্ছেন। সেখানে ‘লন্ডন ক্লিনিক’–এ ভর্তি হতে পারেন খালেদা জিয়া। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিলে তিনি যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রেও।

খালেদা জিয়াকে লন্ডন নিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির রাজকীয় বহরের এক বিশেষ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ পাঠিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত ১০টায় ঢাকা ত্যাগ করবেন খালেদা জিয়া। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহা এবং দোহা থেকে লন্ডনের হিথ্রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দেবেন খালেদা জিয়া।

ওই বিশেষ এয়ার অ্যাম্বু্লেন্স হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির তৈরি এই অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা দিতে সক্ষম।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের চারজন চিকিৎসক এবং প্যারামেডিক থাকবেন। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয় সদস্য এই উড়োজাহাজে ‍যাবেন। তারা হলেন শাহাবুদ্দিন তালুকদার, এফ এম সিদ্দিক, নূরুদ্দিন আহমেদ, জাফর ইকবাল, এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও মোহাম্মদ আল মামুন।

এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকছেন।

খালেদা জিয়া ২০১৭ সালের জুলাই মাসের পর প্রথমবারের মতো বিদেশ সফর করছেন। ফলে লন্ডনে প্রায় সাত বছর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে খালেদা জিয়ার।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

ওমরাহ পালনে গেলেন নিলয়

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন