খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার শারিরিক অবস্থা খুবই খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খালেদার চিকিৎসা হলো মুক্তি। মুক্তি দিলে উনি কোথায় চিকিৎসা করবেন সেটা উনার স্বাধীনতা। আমাদের অতীতের প্রতিহিংসা, ভুল স্মরণ না রেখে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আজ শুক্রবার করোনা পরিস্থিতির সংকটে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি-২০২১” এর আওতায় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, মানসিক শক্তি না থাকলে সুস্থ হওয়া যায় না। সেই জন্য আমি আহ্বান করছি ছাত্রদের পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও মুক্তি দেওয়া হোক। তার কিছু হয়ে গেলে পরে আক্ষেপ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বিএনপিকে জনগণের সমস্যা নিয়ে তা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ, মানুষের মুখে খাবার নেই। এর সাথে যোগ হয়েছে সরকারের ভুল নীতি। গণপরিবহন চলছে না, অথচ প্রাইভেট গাড়ি চলছে। তবে ঈদে বাড়ি যেতে হলে মানুষের করোনা পরীক্ষা করে বাড়ি পাঠানো উচিত।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র মানুষের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে প্রায় ১৫ দিনের খাবার আছে। লোক দেখানো দান করে লাভ নাই। ধনাঢ্যদের পাশাপাশি আমাদের কর্মীরাও ১ দিনের বেতন ডোনেট করেছে।
দুস্থ গৃহকর্মী, অসহায় হকার-শ্রমিক, মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ কর্মহীন সাংবাদিকদের মাঝে মোট ৮২০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়। ২৪ কেজি ওজনের প্যাকেটে একটি মাঝারি পরিবারের ১৫ দিন চলার মতো খাদ্য সামগ্রী রয়েছে। ঈদের আগে আরেও ৫০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। আজ ঢাকা শহরের ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, তোপখানা রোড, হাজারীবাগ ও বাড্ডা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুসহ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।