কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের তিনটি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়ে দেশকে বিভক্ত করেছেন। দেশে কি আর কোনো রাজনৈতিক দল নেই। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, জঘন্য অপরাধ করেছেন তিনি। এজন্য তাকে আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
তিনি বলেন, কোনো বিদেশির এইভাবে দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ নেই। তাই বাংলাদেশের জনগণই পিটার হাসকে স্যাংশন দিতে পারে।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর ৪৭তম মুত্যবার্ষিকীতে মাজারে শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলিমদের ভোট দেওয়া উচিত হবে না। ইসরায়েল গাজায় যেভাবে মুসলমানদের নির্যাতন করছে, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশুদের হত্যা করছে। এই সময়ে পৃথিবীর কোনো মানুষই আমেরিকার পক্ষে যাওয়া উচিত নয়।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, আমরা আমেরিকায় বাস করি না। আমরা বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করবো না, বউ তালাক দিবো, মেয়ের বিয়ে হবে না, ছেলের বিয়ে হবে- এ রকম চিন্তা-ভাবনা করা উচিত নয়। আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভাল না। এটা তার দেশের নির্বাচন না। এটা আমাদের দেশের নির্বাচন। আমাদের গরীব দেশ বলে গরীবের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি তাই করবেন, এটা হতে পারে না।
আমেরিকার স্যাংশন নিয়ে জাতীয় পার্টির জিএম কাদের যা বলেছেন- তা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুতর ভুল কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হওয়া দরকার। কোন দল আসলো আর কোন দল আসলো না, এটাকে বিবেচনা না করে, যাতে সমস্ত ভোটার ঈদের আনন্দ নিয়ে ভোট দিতে পারে এই ব্যবস্থা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
এসময় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সাথে ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এটিএম খালেক হিটলু, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন সজিব, বাসাইল পৌর মেয়র রাহাত হোসেন টিপু ও ঘাটাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ।