করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘শুরু থেকেই করোনায় সরকার লকডাউন করেনি, বলেছে ছুটি। এর কিছু দিন পর করোনার মধ্যে সরকার অফিস-আদালত খুলে দিয়েছে। সবাই সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এরপর সরকার বলছে ২৫ শতাংশ লোক আসলেই হবে। কিন্তু তারা সব লোককে অফিসে আসতে বাধ্য করছে। আবার ২৫ শতাংশ তুলে দিয়েছে। কয়দিন আগে ঘোষণা দিয়েছে সবাইকে কাজে যোগদান করতে হবে। এরই মধ্যে সরকারের ব্যর্থতার কারণে ঢাকাসহ সারা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষকে সচেতন করে করোনা মোকাবিলা না করে অফিস-আদালত খুলে দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
আজ শুক্রবার কুড়িগ্রাম থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘দেশের স্বাভাবিক অবস্থা বোঝানোর জন্য করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না বলে ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।আর তলে তলে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়াতে সহায়তা করছে। অফিস-আদালত খুলে সবাইকে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নয় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য। কোটি কোটি মানুষকে বিনাচিকিৎসায় ঠেলে দিয়ে ভয়ঙ্কর মরনযজ্ঞ তৈরি করেছে।’
অন্য কোনো দেশের চামড়া শিল্প বিকাশ সাধনের জন্য নিজ দেশের চামড়া শিল্পকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘যে সরকার দিনের বেলা ভোট করতে ভয় পায়, রাতের বেলা ভোট করে সে সরকার মানুষের কল্যাণে কাজ করবে না সেটাই স্বাভাবিক। এবার আমরা দেখেছি কোরবানির চামড়া নিয়ে তেলেসমাতি। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি না হওয়ায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার গরিব অসহায় এতিমদের পিশে মারছে। সরকার ট্যানারি মালিকদের কোনো রকম সহযোগিতা করনি। ঋণ না দেওয়ায় ট্যানারি মালিকরা চামড়া ক্রয় করেনি। সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়ার শিল্পকে ধ্বংস করছে। এর উদ্দেশ্য হলো অন্য কাউকে, অন্য কোনো দেশকে চামড়া শিল্প বিকাশ সাধনের জন্য দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার উদ্যোগ নিয়েছে।’