করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত আপাতত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, ভারতে সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ইউকে ভ্যারিয়েন্ট, ডাবল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে ট্রিপল মিউটেশন ভ্যারিয়েন্ট বা ভি-১, সিক্স-১ এর আবির্ভাব মারাত্মক একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আমি ভারতের এই বিষয়টি এজন্য উল্লেখ করছি যে, ভারতের সঙ্গে আমাদের দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং প্রচুর পরিমাণ নাগরিকদের যাতায়াত আছে। বিশেষ করে মেডিক্যাল ভিসা বা অন্যান্য কাজে। আমরা দেখছি, পশ্চিমবাংলায় সংক্রমণটি সবচেয়ে বেশি হয়েছে। সেজন্য আমরা মনে করি যে, ভারতের সঙ্গে স্থলপথে যে সীমান্ত আছে, এই সীমান্তগুলো একেবারেই বন্ধ করা দরকার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতিমধ্যে আপনারা লক্ষ্য করেছেন-বলা হচ্ছে যে, বাইরে থেকে যারা আসবেন বিমানপথে, তাদেরকে মাত্র তিনদিন কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যেটা আমি বিশ্বের কোথাও শুনিনি। এই যে সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো, এই সমস্ত সিদ্ধান্তগুলো আমাদের পরিস্থিতিকে ভয়ংকরভাবে নাজুক করে ফেলেছে। এখন যে অবস্থাটা সৃষ্টি হয়েছে যে, লকডাউনের পরে একটা সপ্তাহ সবাই বাইরে চলে গেল, এখন আবার বলা হচ্ছে যে, আগামী রবিবার থেকে শপিংমল-দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে।
ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউন কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার প্রধান কারণ লকডাউনের শর্তানুযায়ী খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্যসংস্থান না করা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা না করা। এর কিছুই না করে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা রীতিমতো অমানবিক ও অর্থহীন প্রচেষ্টা। লকডাউন ঘোষণার আগেই জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে ভেরিয়েন্ট এসেছে তা ভয়াবহভাবে বাংলাদেশে ছড়িয়েছে। এমন একটা পরিবার নেই যেখানে এই সংক্রমণ যায়নি। এমনকি শিশু পর্যন্ত এবার বাদ পড়ছে না। আমরা এ বিষয়ে আগেও বলেছি। এখনো আমরা সরকারকে বলতে চাই যে, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার এবং একটা পরিকল্পিত, সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন বলে জানান তিনি।