মাথায় সিলিং ফ্যান পড়ে আহত হয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. মুরাদ হাসান। তাঁর কপালে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দৌলতপুরে তাঁর নিজ বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড়ির সামনে বৈঠকখানায় আলাপ-আলোচনা করছিলেন সংসদ সদস্য মুরাদ।
হঠাৎ বৈঠকখানার একটি সিলিং ফ্যান তাঁর মাথার ওপর পড়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিক্যাল টিম দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে চিকিৎসা দেয়। মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনের বৈঠকখানায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছিলেন সংসদ সদস্য। হঠাৎ বৈঠকখানার একটি সিলিং ফ্যান তাঁর মাথার ওপর পড়ে। এতে তাঁর কপাল ফেটে যায়।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, সিলিং ফ্যান মাথায় পড়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের আহত হওয়ার খবর পান তিনি। পরে হাসপাতালের একটি চিকিৎসকদল তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তাঁর কপালে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। বাড়িতেই চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
মোবাইল ফোনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে অশালীন কথা বলে ভাইরাল হন সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। পরে গত ৭ ডিসেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর, পদ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর পর থেকে প্রকাশ্যে তাঁকে দেখা যায়নি। তাঁর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম সম্প্রতি মারা যান। জানাজায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা যায়। চাচার জানাজা ও দাফন শেষে আবার ঢাকায় ফিরে আসেন তিনি। তিনি ঢাকার ধানমণ্ডির বাসায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত জানুয়ারিতে তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জাহানারা এহসান মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে মুরাদ ধানমণ্ডির বাড়ি ছেড়ে সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুরের বাড়িতে চলে যান।