বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলেন খেলা খেলা বন্ধ করতে। উনি তত ভালো খেলোয়াড় নন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের সদস্যদের কলঙ্ক আছে। আপনি পদত্যাগ করে তাকে খেলতে দেন। প্রকাশ্যে যদি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে পারে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলবো- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ঘোষণা দেন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটাধিকারের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করলাম। রাষ্ট্রপতিকে বলেন, সংসদ বিলুপ্ত করতে। এরপর ওবায়দুল কাদেরকে খেলতে বলুন।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ কারাবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়। আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্যাহ ইকবালের সভাপতিত্বে ও সদস্য আবু তালেবের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
সম্প্রতি গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির একজন নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় জানাজায় অংশ নিতে বাধ্য করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কী মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? দেশি-বিদেশি সবাই দেখেছেন।
৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এ দিন পুলিশের কারা ডিউটি করেছেন, আমরা দুই চারজনকে চিনলেও তাদের তালিকা পুলিশের কাছে আছে।
বাধার পরও ১০ বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা সরকারকে সঠিক তথ্য দেয় না। যে তথ্য দিলে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) খুশি হবেন, সেই তথ্য দেয়। গোয়েন্দা সংস্থা সঠিক তথ্য দেবে আপনার পদত্যাগের পর যে সরকার আসবে সেই সরকারের কাছে।
স্বৈরাচার এরশাদ এই সরকারের কাছে শিশু উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, এই সরকারকে কী বলবেন স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ, লুটতরাজ, কোনটা বলবেন?
তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা নেই, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ শূন্য। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বলছেন টাকা আছে। টাকা আছে আপনার আত্মীয় স্বজনের কাছে। এই টাকা ফেরত দিলে এক বছর নয়,পাঁচ বছরের বাজেট হবে। বিদেশ থেকে ঋণ আনতে হবে না।
আন্দোলন করি বা না করি এই সরকারকে যেতে হবে উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, এখন আপনারা প্রতিদিন আমাদের কোর্টে নেন। কিন্তু ক্ষমতা থেকে গেলে আপনাদের ২৪ ঘণ্টা কোর্টে থাকতে হবে। আমরা মামলা না করলেও দেশের ১৮ কোটি মানুষ মামলার প্রস্তুতি নেবে।