বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আমরা একটা আজব দেশে বাস করছি। যে দেশে চিকিৎসার জন্যও আন্দোলন করতে হয়। অথচ চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। দেশের শতকরা ৯৯ দশমিক ৯৯ ভাগ মানুষ চায়- বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা হোক।’
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া যদি মুক্ত না হন, তাহলে তাঁর গুলশানের বাসভবনকে সাব-জেল ঘোষণা করেন। তা না হলে খালেদা জিয়া এখন কোন অবস্থায় আছেন, জনগণের সামনে তা সরকারকে স্পষ্ট করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবির চেয়ে সরকার পতনের দাবিটাই আমাদের কাছে মুখ্য হওয়া দরকার। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যেটা মনে ধারণ করেন, সেটা বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আপনাদের সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। দিনক্ষণ দেখে কখনো কোনো বিস্ফোরণ ঘটে না। জনগণের আন্দোলন রিমোট কন্ট্রোলে চলে না। জনগণের বিস্ফোরণের রিমোট কারও হাতেও থাকে না। সেই কারণে বলছি, আপনারা প্রস্তুত থাকুন আর আমরাও প্রস্তুত থাকব।’
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, ‘এখন আমাদের একটাই পথ, এই সরকারকে হটানো। খালেদা জিয়ার ভাগ্যে যা ঘটার ঘটুক। আল্লাহ যদি তাঁকে রহম করেন এবং জনগণের এই আকুতি যদি আল্লাহ আমলে নেন, আমি বিশ্বাস করি, খালেদা জিয়া জনগণের জন্য বেঁচে থাকবেন। কারও অনুকম্পায় বেঁচে থাকবেন না। সুতরাং আমার কাছে মনে হয়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবির চেয়ে সরকার পতনের দাবিটাই আমাদের কাছে মুখ্য হওয়া দরকার।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘আপনারা শক্ত কর্মসূচির কথা বলেন। শক্ত কর্মসূচি বলতে কোনো কর্মসূচি নেই। আপনি রাজপথে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন, শক্তভাবে করবেন, নাকি নরম করবেন! সেটা আপনাদের ওপর নির্ভর করবে। আর রাজনীতির ভাষায় কঠোর কর্মসূচির কোনো সংজ্ঞা নেই।’