একুশের চেতনাই বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের নেতাকর্মীদের আন্দোলন-সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে প্রেরণা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল সাড়ে এগারোটায় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একুশের চেতনাই আমাদেরকে প্রেরণা দেয়। একুশের চেতনাই আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে।
এই যে জুলুম, নিপীড়ন, ২৫ হাজার নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখা, বন্দি করে রাখা, তারপরেও আজকে যখন তারা বেরিয়ে আসছে, তখন তারা উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নতুন সংগ্রাম, নতুন আন্দোলন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, বন্দি গণতন্ত্রকে মুক্ত করতেই হবে, প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই, সোচ্চার হয়ে কথা বলতে চাই, নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই, সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার মূল প্রেরণা ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরেই এগিয়ে যাব, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সফল হব। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা আমাদের জাতীয়তাবাদের প্রথম অনুভূতি লাভ করি ৫২-এর একুশে চেতনার মধ্য দিয়ে। একুশে চেতনার মূল উপাদান হচ্ছে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা, এই অঞ্চলের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
আমরা অনেক রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কী পেয়েছি? আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমাদের কণ্ঠস্বরকে অবরুদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রশক্তি আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ ছয়-সাত বছর বন্দি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সব অধিকার বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ ডালপালা মেলেছে-ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, তাদের ঝুলিতে আর কিছুই নেই। তারা মানুষের কাছে আর কী কথা বলবে! তারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হত্যা করেছে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিরুদ্দেশ করেছে, তারা আর কী বলবে! তারা এখন বিভিন্নভাবে আবোলতাবোল কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করছে।