সরকারের ব্যর্থতার কারণে দেশে ধর্ষণের উৎসব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের মা-বোনেদের নিরাপত্তা নেই। দেশের কেউ নিরাপদ নয়।’
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘মা-বোনেরা এখন নিরাপদে চলা-ফেরা করতে পারে না। বিনা-বিচারে হত্যা, এখানে তাদের মতের সঙ্গে যারা একমত নয়, তাদের গুম করে নেয় অথবা হত্যা করা হয়। যে পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দেবে সেই পুলিশ কক্সবাজারে সাবেক সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। সেখানের ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে ৩৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ কোথায় যাবে। যাদের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের দ্বারাই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই পদত্যাগ করুন, অতীতের সব নির্বাচন বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। এটাই একমাত্র সমাধান। কোভিড বলেন আর যাই বলেন নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সমস্যারই সমাধান হবে না।
এসময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরের পাশে ১০ শতাংশ ভোটও না, আমরা মনে করি ৫ শতাংশও পড়েনি। বলছে নির্বাচন সন্তুষ্ট হয়েছে। একটা মানুষের লজ্জা-শরম থাকে, এদের তাও নাই। তারা বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে গেছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কথাটাতো মিথ্যা বলেননি। নির্বাচনতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে ২০১৪ সাল থেকেই। আপনারা ক্ষমতায় আসার পর সু-পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষ যাতে পছন্দের মানুষকে ভোট দিতে না পারে সে ব্যবস্থা করেছেন। ১৫৪ জনকে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করে ক্ষমতায় গেছেন। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছেন, পুলিশকে ব্যবহার করেছেন। মিডিয়াকে ব্যবহার করেছেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন