English

19 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

এই বাজেটকে জনবান্ধব বলা যায় না: গোলাম মোহাম্মদ কাদের

- Advertisements -

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণার পর জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি জাতীয় সংসদ টানেলের পাশে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানান।

এসময় বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেন, এই বাজেটকে জনবান্ধব বলা যায় না। পরোক্ষ করের করনে জনগণের মাথায় করের বোঝা বাড়বে। জনগণের মুক্তির উপায় নেই। পরিবেশের অভাবে বিদেশি বিনিয়োগ বড়বে না, তাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে না। এই বাজেটের পরে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।

এসময় গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, বাজেট হয়েছে গতানুগতিক। গেলো কয়েক বছর যা হয়েছে, তার বাইরে বিশেষ কিছু নেই। দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। মূল্যস্ফীতি, প্রতিদিন জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। আছে বেকার সমস্যা। বৈদেশিক মুদ্রা যা আয় করছি, ব্যায় হচ্ছে তা চেয়েও বেশি। রিজার্ভ প্রতিদিন কমছে। এতে আমাদের টাকার দাম কমছে।

এগুলো উত্তরণের কোন পদক্ষেপ বা উদ্যোগ এই বাজেটে লক্ষ্য করছি না। বাজেটের আকার করা হয়েছ ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। পরিচালন ব্যায় হচছে ৫ লক্ষ ৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন ব্যায় হচছে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। ব্যয়ের চেয়ে আয় হচছে অনেক কম। রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছ ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪শো কোটি।

২ লক্ষ ৫১ হাজার ৬ শো কোটি টাকার ঘাটতি হচ্ছে। ঘাটতি মেটানো হচছে দেশি ও বিদেশি ঋণ দিয়ে। ঋণ নিয়েই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হচ্ছে। ১ লক্ষ ২৭ হাজার কোটি বৈদেশিক ঋণ থেকে সুদ দেয়ার পরে আমরা ব্যবহার করতে পারছি ৯০ হাজা ৭শো কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ করতে হচছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৯শো কোটি টাকা। পরিচালন ব্যায় ও ঋণ নিয়ে করা হচছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুূদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫শো কোটি টাকা।

এখন ঋণ করা হচছে তার সুদ ভবিষ্যতে পরিশোধ করতে হবে। ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৪শো কোটি টাকা রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে। ৬২ শতাংশ হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর বাকিটা পরোক্ষে কর। এতে সাধারণ মানুষের ওপর করোর বোঝা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমার কোন সম্ভাবনা নেই। আয়কর মাত্র ৩৬ ভাগ, আমদানী শুল্ক ১০.৩, মূল্য সংযোজন কর ৩৮.১ এবং সমপূরক শুল্ক ১৩.৮ এটা রিক্সাওয়ালা থেকে ভিক্ষুকদেরও দিতে হবে। গরীব মানুষদের বাঁচানোর জন্য কোন উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ছে না।

হতদরিদ্র মানুষের জন্য যেটুকু দেয়া হয় তা নিয়ে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। অপচয় এবং দুর্নীতির মাধ্যমে যারা সহায়তা পাওয়ার কথা তারা পায় না। সরকার যেটা অর্জন বলছে সেটা দুর্নীতি বা লজ্জাজনক। সরকার বলছে ৩০ হাজার মেগাওয়াট উতপাদনের সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট ব্যবহার করা সম্ভব হয়। ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট দরকার হলেই লোডশেডিং করতে হয়। সারাদেশে লোডশেডিং চলছে।

১৫ হাজারের পরে বাড়তি ১৫ হাজার মেগাওয়াট উতপাদন না হলেও বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার কোটি টাকা বসিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়েছে ঐসব প্লান্টকে। জনগণের ক্ষতির কারণ গুলোকে লাভজনক ভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ, এখনো সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, গ্যাস পাচ্ছে না। গ্যাস আমদানিতে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার কিন্তু উতপাদনের উদ্যোগ নেয়নি। এতে আমাদের বিপুল অংক গচ্চা দিতে হচ্ছে। আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত হুমকির মুখে আছে।

এসময় ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি- কিশোরগঞ্জ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, একেএম সেলিম ওসমান এমপি- নারায়ণগঞ্জ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, মোঃ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, মোঃ আশরাফুজ্জামান আশু এমপি, নুরুন্নাহার বেগম এমপি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন