নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, এই আওয়ামী লীগ এখন পথ হারা আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগ অপশক্তির আওয়ামী লীগ, এই আওয়ামী লীগ এখন অস্ত্রবাজদের আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ টেন্ডারবাজ চাকরি বাণিজ্য করে তাদের আওয়ামী লীগ।
এসময় পুলিশ গায়ে হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ড থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ করেন।
কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ আজকে অপরাজনীতির হোতারা আওয়ামী লীগ নিয়ন্ত্রণ করছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য আজকে হেফাজতের মতো সন্ত্রাসীরা যারা ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় ৭১ সালকে হার মানিয়েছে, তাদের সাথে নিয়ে আজকে আওয়ামী লীগ সংসার করছে। তাদের নিয়ে আজ রাজনীতি পরিচালনা করছে। ক্ষমতা এতো বড় আজকে আমরা আদর্শ বিসর্জন দিয়েছি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে আমাদের বিচ্যুত করেছে এটা নির্দ্বিধায় সবাই স্বীকার করবে।
‘সন্ত্রাসী পুলিশেরা আমার সাতজন কর্মী বিশেষ করে মিকন ও আরও একজন ছেলেকে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। সকালের দিকে খবর পেয়ে আমি তাদের দেখতে গেছি। তারা শোয়া থেকে উঠতে পারছে না। দেখে ফেরার পথে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে এডিশনাল এসপি। আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। আমি ১০ বার বলেছি আমি ডিএস মর্যাদার। তুমি আমার গায়ের ওপর হাত দাও কেন? সে তারপরেও আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। ওসি আমার সহকারী সাজুর গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। পুলিশেরা গায়ের ওপর হাত দিয়েছে। তাকে মারধর করেছে তার মোবাইল কেড়ে নিয়েছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘তারপরে আমি আসার পথে এ এডিশনাল এসপি ওসিসহ পুলিশ আমাকে অকথ্য ভাষায় মা ধরে গালি-গালাজ করেছে। আমি কোন দিন থানায় যাইনি। আজকে একদিন গেছি এদের অত্যাচারের কথাটা দেখে আসার জন্য এবং শোনার জন্য। আজকে আমাদের ওপর এ তাণ্ডব চালিয়েছে। গত তিনটা মাস আমার ওপর তাণ্ডব চলছে।’
‘আমার সাতজন নেতাকর্মীকে গতরাতে গ্রেফতার করেছে। আমি যখন শুনলাম থানাতে তাদের নির্যাতন করছে, আমার জীবনে আমি বিরোধী দল করেছি তখন আমার কর্মীদের উপর এতো নির্যাতন হয়নি। আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম আমাদের পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই সম্মান করতো, শ্রদ্ধা করতো। আজকে আমি সরকারি দলের মূল সংগঠনে না থাকলেও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নামে একটা প্রতিষ্ঠানে আছি। আজকে আমার অনুসারীদের যেভাবে অত্যাচার করছে, থানায় এটা একাত্তরকে হার মানিয়েছে। আমার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিম উদ্দিন মিকনকে কালকে রাতে ধরে নিয়ে তাকে এমনভাবে নির্যাতন করেছে। সে শোয়া থেকে উঠে আমার সাথে কথা বলতে পারছে না। এখানে একজন এডিশনাল এসপি অর্থ নিয়ে থাকে। এখানে বসানো হয়েছে আরেকজন জামায়াতের পিটুনী খেয়েছে মাইজদীতে, যাকে একটা হেলিকপ্টারে করে চিকিৎসা করিয়েছে, সেই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ওসির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী পুলিশ আমার সাতজন কর্মী বিশেষ করে আরেকজন ছেলে এরা দুজন শোয়া থেকে উঠতে পারছে না।’
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহমেদের বিরুদ্ধে গায়ে হাত তোলার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি (আবদুল কাদের মির্জা) যে অভিযোগ করেছেন তা ভিত্তিহীন। গতকালের (সোমবার) ঘটনাকে রাজনৈতিক চরিত্র দেয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন কথা বলছেন। গায়ে হাত দেয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি।