উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার যেসব বিনিয়োগ দেশের জন্য লাভজনক হবে অর্থাৎ ইনকাম জেনারেটিং হবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ প্রায় এগারো বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া এসব অর্থ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করি তাহলে লোন পরিশোধ করার পরও দেশ লাভজনক অবস্থানে থাকবে। ঋণ সকল দেশ নিয়ে থাকে সে দেশের উন্নয়ন, মানুষের কল্যাণ ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য। সকল দেশের লোন জনগণই শোধ করে থাকে। কারণ সরকার যে টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে তা মূলত জনগণেরই টাকা।
মো.তাজুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা বললে কিছু মানুষের সহ্য হয় না। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থমকে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। দেশ পরিচিতি পায় ভিক্ষুক আর মিসকিনের জাতি হিসেবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানা, জিডিপির গ্রোথ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন এসব উন্নয়নের কাউকে বলা যাবে না। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা বলতে গেলে একটি গোষ্ঠীর ভালো লাগে না।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশমেটিক লিডারশিপের কারণে সারা বিশ্বেই তাঁর একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছিলো। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শের কথা বলেছেন। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা, বৈষম্য নিরসনে দূরদর্শিতা এবং লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সাহস পদক্ষেপ ও কৌশল সত্যিই অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয় বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর তাঁর কোনো ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যার থাকার খাওয়ার জায়গা ছিল না। এমন অনিশ্চয়তার জায়গা থেকেই জনগণের ভালবাসায় দেশের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে আজকের জায়গায় এসেছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।