English

21 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
- Advertisement -

‘আ.লীগকে সাহায্য করেছি’ অহেতুক দোষারোপে শাস্তি দেবেন না: জি এম কাদের

- Advertisements -

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি সম্পর্কে বিভিন্নভাবে দোষারোপ করার বিষয়টি দুঃখজনক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার না ডাকলে আমাদের আপত্তি নেই কিন্তু আমাদের অহেতুক দোষারোপ করে শাস্তি না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় পল্লিনিবাস বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি ৪০ বছরের পুরাতন দল। দেশের উন্নয়নে সংস্কারে আমাদের ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনাতেও আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। বর্তমান সরকারকে আমরা প্রথম থেকে সহযোগিতা করার কথা বলে আসছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছি, করেও যাবো। তারা পরামর্শ চাইলে দেবো, না চাইলে দেবো না। কিন্তু এখন যেভাবে আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বলা হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে আমরা স্বৈরাচারী সরকারকে সহযোগিতা করেছি, এমন অভিযোগ করা হচ্ছে, যা মোটেও সত্য নয়। ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ২৭০ জন প্রার্থী নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন। আমি নিজেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলাম। আমাকে মন্ত্রী করতে চাওয়া হয়েছিল কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমার ভাই মরহুম এরশাদ নির্বাচন বর্জন করার কথা বললে তাকে জোর করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আটকে রাখা হয়। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার ছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি একমাত্র দল যারা সন্ত্রাসবাদ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, হাট দখল, জমি দখল, অবৈধ ব্যবসা, লুটপাটের সঙ্গে কখনও জড়িত ছিল না। বিএনপির আমলে আমরা হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, আর আওয়ামী লীগের আমলে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। ষড়যন্ত্র মানে দল ভাগ করে দেওয়া, ক্ষমতা অন্যত্র চলে যাওয়া। আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল।’

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, বেকারত্ব বাড়ছে, মানুষ মিল-কারখানা চালাতে পারছে না, উপার্জন কমে যাচ্ছে। সরকারের সামনে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বেকারত্ব দূর করা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা তো কিছুটা আছেই।’

এ সময় মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, জাপা নেতা আজমল হোসেন লেবু , লোকমান আহমেদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন