সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে এখনো পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আমরা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে যাচ্ছি। ক্রমেই রপ্তানি আয় বাড়ছে। আমাদের জিডিপি বাড়বে, চলমান অর্থনীতির ধারায় এমন বলিষ্ঠ আভাস আমরা পাচ্ছি। আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় রিজার্ভও বাংলাদেশের কাছে আছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সংকট, ব্যাংকের রিজার্ভ, বঙ্গবন্ধু টানেল, বৈশ্বিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অন্যদিকে ইউরোপ, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা-পালটা নিষেধাজ্ঞা। ইউরোপের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলংকার রিজার্ভ তলানিতে, পাকিস্তানের রিজার্ভও সংকটাপন্ন। আমাদের দেশেও জ্বালানি তেলসহ সব জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থান এখনো ভালো আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়শীল দেশের রিজার্ভ এখন ৩৪ বিলিয়ন ডলার। দেশে ৫ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ আছে। দেশের অর্থনীতির চলমান ধারার মধ্যে একটি বলিষ্ঠ আভাস আছে। আগামীতে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এবং জিডিপি আরও বাড়বে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জাতির পিতা ৭ মার্চ যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে দুটি অংশ ছিল। একটি স্বাধীনতা, অপরটি অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। এই অর্থনৈতিক মুক্তির বড় স্থাপনা হচ্ছে পদ্মা সেতু। যে প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা সংসদে দাঁড়িয়ে দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা আজ স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা।