বর্তমানে বহুল আলোচিত আফগান প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের ইতিহাস বাংলাদেশে দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। এ বিষয়ে কে কী স্ট্যাটাস দিল তা দেখার সময় নেই। মনে রাখতে হবে, এটা বঙ্গবন্ধুকন্যার বাংলাদেশ। এই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে আর কোনো আস্ফালনকারী, ‘৭১ এর প্রেতাত্মা, পাকিস্তানি দালাল-রাজাকার-আল বদরের বংশধরেরা আস্ফালন করবে, হত্যাকাণ্ড করবে, নৈরাজ্য করবে আমরা বেঁচে থাকতে তা হতে দেব না। খুনি জিয়া বিচার কার্যকর করাই আমার শপথ ও অঙ্গীকার। শোক দিবসে এটাই আমাদের দীপ্ত শপথ।’
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ১৫ আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানিরা জয়ী হয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের বিরোধীতা করেছিল, ১৫ আগস্ট তারা প্রত্যেকেই উল্লাসিত হয়েছিল। তাদের সেই আনন্দ-উল্লাস এই বাংলাদেশের বঙ্গভবনে হয়েছে, তাদের সেই আনন্দ-উল্লাস খন্দকার মোশতাকের সাথে হয়েছে। এই বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ অসহায়-নির্বাক দৃষ্টিতে তা দেখেছে। সমগ্র বিশ্ব দেখেছে একটি বেঈমান, পিতা হত্যাকারী জাতিকে। তারা ধিক্কার জানিয়েছে এবং বাংলার মানুষকে বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘বিনা অপরাধে কোনো কারণ ছাড়া জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সময় জাতির পিতা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছিলেন, তার চোখ তখন কী বলছিল? এরা হত্যা করল আমাকে!’
জাতির পিতার খুনিদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এ প্রজন্ম যারা ‘৭১ এর পরে জন্মগ্রহণ করেছি, যারা ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টে ছোট্ট শিশু ছিলাম, আমরা চিৎকার করে বলতে চাই- মূল খুনির বিচার এখনো হয় নাই। এই খুনের মূল পরিকল্পনাকারী, মাস্টারমাইন্ড, খুনি জিয়াউর রহমান। এই খুনিকে ছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব ছিল না। আমরা বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এই খুনি জিয়ার মুখোশ উন্মোচন করব। আমাদের সন্তানদের জন্য, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ যারা বিনির্মাণ করতে তাদের জন্য এই খুনির মুখোশ উন্মোচন করতেই হবে এবং আমরা তা করবই করব।’