‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেই ছাড়বো’ বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আপনারা(অন্তবর্তীকালীন সরকার) দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনগত প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন। কাসেমের লাশকে সামনে রেখে শপথ করছি, কাসেমের রক্তের দায় আমাদের। আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেই ছাড়বো।’
বুধবার রাত ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় মারা যাওয়া শহীদ আবুল কাশেমের জানাজায় এ শপথ করেন তিনি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আপনাদের আর কি কি প্রয়োজন। দীর্ঘ ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে মানুষের অধিকার লুণ্ঠিত হয়েছে। গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এগুলোই আওয়ামী লীগের ক্যালেন্ডার।’
তিনি আরও বলেন, ছয় মাস পরেও আমাদের জুলাই বিপ্লবের সৈনিকদের আওয়ামী লীগের দোসরদের হাতে নিহত হতে হয়। আমাদের গণতন্ত্রকামী, ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলের এটি হচ্ছে আমাদের কানেকটিভ ফেইলিউর। আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে সব রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে, এটি আমাদের কানেকটিভ ফেইলিউর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা এতদিন পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারি নাই। আমরা দেখছি, ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগ অপরাধের বৈধতা উৎপাদন করেছে।’
এসময় গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের (২০) মৃত্যুর ঘটনায় কফিন মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগের উদ্দেশে কফিন মিছিল বের করে সংগঠনটি। এসময় স্লোগানে স্লোগানে আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, করতে হবে, করতে হবে’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শহীদ আবুল কাশেম। মিছিলের আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।