পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, সীমান্তে হত্যা বন্ধে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিক। মায়ানমার ও বাংলাদেশ বর্ডারে কখনো গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই সীমান্তে দিন দিন অপরাধ বাড়ছে। মঙ্গলবার ৫ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সম্প্রতি ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সাথে কোন ধরণের কুটনৈতিক আলোচনা হচ্ছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা খুবই দানবীর। আমরা বর্ডারে কাউকে মারি না। মাঝে মধ্যে প্রতিবেশি দেশের হাতে এক-দু’জন মারা গেলে মিডিয়া আমাদের জান শেষ করে দেয়। কেউ মরলে মিডিয়া চিৎকার শুরু হয়। বাংলাদেশ-ভারত নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ডারে একটি লোকও মরবে না।
মায়ানমার বর্ডারে গুলির সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরো ভাল বলতে পারবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই বর্ডারটি খুবই ‘ডিফিকাল্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লা খুন হওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে ছেলেটা মারা গেছে সে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে কাজ করছিল। সে রোহিঙ্গাদের বোঝানোর চেষ্টা করছিল, এখানে নয়, তাদের সুন্দর ভবিষ্যত তাদের দেশেই। তাই তাদেরকে রাখাইনে ফিরে যেতে হবে। এই আন্দোলন করতে গিয়েই তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। আমরা চাই সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মুহিবুল্লাহ’র হত্যা রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারী চিহ্নিত হোক। হত্যাকারীদের শাস্তি হোক।
নিজেদের ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের অস্থিতিশীল করে তুলছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা বলে এ সময় তিনি মন্তব্য করেন।
এম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দ্বোরাইস্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।