হৃৎপিণ্ডে আরো দুটি ব্লকসহ নানা জটিলতার কারণে খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড। আজ রবিবার (১২ জুন) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন এই কথা জানান।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গতকাল ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটাতে এনজিও গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে স্টেন্টিং করা হয়েছে।
এখন তিনি সিসিইউতে কার্ডিওলস্টিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। এখন পর্যন্ত শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন ডাক্তারদের বক্তব্য হলো যে, ৭২ ঘণ্টা না গেলে প্রসিজিউরের পরবর্তীতে কোনো কমেন্ট করা সঠিক হবে না। সেজন্য তাঁরা মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। ’
বাকি দুইটি ব্লক সম্পর্কে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘তাঁর শরীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ তাঁর ক্রনিক কিডনি ডিজিস আছে, ক্রনিক লিভার ডিজিস আছে, এক্ষেত্রে যে সব ওষুধ তিনি ব্যবহার করেন- সেক্ষেত্রে কিডনি ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আরো দুইটা ব্লক অপসারণের কাজটি বাকি রাখা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে ডাক্তাররা সার্বক্ষণিকভাবে নজর রাখছেন। টাইম টু টাইম তার স্বাস্থ্যের প্রতি উনারা নজর রাখছেন। ম্যাডামের পরিবারসহ কাউকে এলাউ করছেন না। আমরা নিজেরাও সেখানে বেশি যাতায়াত করছি না। বাইর থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার করছি। ’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে একটি ব্লক অপসারণ করে সেখানে স্টেন্টিং করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার গভীর রাতে গুলশানে বাসা ‘ফিরোজা’য় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।