মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছে বিএনপি। এর মাধ্যমে পাঁচ মাস পর আবারও মাঠের রাজনীতিতে সরব হলো দলটি। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সোমবার এ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৪৮ দিন পর তিনি দলীয় কোনো সমাবেশে উপস্থিত হলেন।
এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পাওয়ার পরও রাজনীতিতে সক্রিয় হননি শারীরিক অসুস্থতার কারণে। বিভিন্ন মহলে রাজনীতি থেকে তার অবসরের গুঞ্জন শুরু হয়। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কয়েকটি বৈঠকে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। তবে ফখরুল বরাবরই বলে আসছেন তিনি রাজনীতিতে থাকছেন।
আজকের সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। কিন্তু তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। তারা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে এখন ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন চলছে। যে ভোটাধিকারের মাধ্যম দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সত্য কথা বললেই আজ গ্রেফতার করা হয়।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রতিরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আন্দোলনে সস্পৃক্ত করতে পারলেই হবে গণঅভ্যুত্থান, হবে জনগণের বিজয়। তাই জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, যারা আন্দোলনে সামনে থাকে তাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে।
দিবসটি উদযাপনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সদস্য সচিব করে ১৬ সদস্যের কমিটি করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেন।