English

22 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

- Advertisements -

আর হরতালের মেয়াদ না বাড়িয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। রবিবার (২৮ মার্চ) পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

হেফাজতের নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সোমবার (২৯ মার্চ) দোয়া মাহফিল ও শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

হেফাজতে ইসলামের হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জিহাদী বলেন, হেফাজতের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। হেলমেট বাহিনী দ্বীনের শত্রু, ইসলামের শত্রু। তারা কেউ হেফাজতের নয়। যারা কালেমা জানে বিশ্বাস করে তারা অন্তত বিজেপিকে ভালোবাসতে পারে না।

হেফাজতের এই নেতা বলেন, আহতের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আটকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক আমরা চাই না। সরকার দলীয় লোক বাড়ি বাড়ি হামলার হুমকি দিচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে আমিরে হেফাজত বাবুনগরীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা বসে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।

তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতে কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী এবং ‘গুজরাটের কসাই’ হিসেবে কুখ্যাত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর গৌরবময় আয়োজনে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে আমাদের যৌক্তিক অবস্থান ও কর্মসূচি ছিল। যে কর্মসূচিতে সকল দেশপ্রেমী তৌহিদী জনতার সর্বাত্মক সমর্থনও ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি সুন্দরভাবে পালনের স্বার্থে আমরা কোনোরকমের সহিংস কর্মসূচি দেওয়া থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু নিদারুণ ক্ষোভের সাথে বলতে হয়, গত ২৬ মার্চ দিনভর দেশপ্রেমী জনতার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের জঘন্য হামলায় পাঁচজন হেফাজত কর্মী শাহাদাত বরণ করেন। আহত হন অসংখ্য। হাটহাজারী, বি.বাড়িয়া, ঢাকার যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় মাদ্রাসায় ঘেরাও করে হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বাধ্য হয়ে ২৭ মার্চ বিক্ষোভ ও ২৮ মার্চ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি আহ্বান করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২৭ মার্চের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিভিন্ন জায়গায় সরকার দলীয় ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা বিনা উস্কানীতে হামলা চালায়। বিশেষ করে বি. বাড়িয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উবাইদুল মুকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে এক মাদরাসায় হামলা চালালে সেখানে তৎক্ষণাৎ চারজন সহ পরবর্তীতে মোট ৮টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মাদরাসায় ও সাধারণ কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা ও হুমকি প্রদান করে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন, হেফাজত নেতা আতাউল্লাহ আমিন প্রমুখ।

হেফাজতে ইসলাম মোদির আগমন প্রত্যাহার করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছিল। মোদির আগমনের দিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু ওইদিন সাধারণ মানুষের আন্দোলনে প্রশাসন গুলি চালিয়েছে। যার প্রতিবাদে এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের প্রতিবাদ ও হেফাজতের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রাণহানির ঘটনায় রবিবার হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন