ভারতের উদ্দেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ভারত একজন গণহত্যাকারী ও অর্থলোপাটকারীকে কোন কাগজপত্র ছাড়াই আশ্রয় দেবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। সময় থাকতে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে গণহত্যাকারী খুনি শেখ হাসিনার ও তার দোসরদের বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সাহায্য করেছে। যারা এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের ১৮ থেকে ২০ লক্ষ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। যারা এদেশের সাধারণ জনগণ, ছাত্রদেরকে হত্যা করেছে। তারা ভারতে থাকতে পারে না। আমি ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানকে বিশেষভাবে বলব সময় থাকতে তাকে ফেরত পাঠান।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, এই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের লড়াই তখনই শেষ হবে যখন এ দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবে। তারা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই সরকার ছাত্র-জনতা আন্দোলনের নিহতদের সহায়তায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ হয়েছে। গত ১৬ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে আহত হয়েছে তাদেরকে সাহায্য করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কৃষকদলের সাবেক এই আহবায়ক বলেন, এদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, ৭১ সালে রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র আমরা বারবার হারিয়েছি। এখন একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমি এই সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাবো বেশি সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। দেশবাসীকে পরীক্ষায় ফেলা ঠিক হবে না।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টি জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ারসহ প্রমুখ।