শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘হত্যাকারী শেখ হাসিনাকে স্থান না দিতে ভারতের কাছে বার বার অনুরোধ জানিয়েছি। ভারত এখনো কিছু জানায়নি। বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ তারা যেন হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতকে চিঠি দেয়।হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক হত্যা মামলা হয়েছে। দেশে ফেরত এনে তার গণহত্যা এবং অন্যান্য অপরাধের বিচার করতে হবে।’
শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মো. সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি নেতা ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, ডা. অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবীর খান, ডা. মাজারুল আলম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী পদে থাকেবে এ কারণে বাংলাদেশের সমস্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে ছিলেন।’
শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার কারণ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে শেখ হাসিনা ব্যবহার করেছেন।পুলিশ দিয়ে গুলি করে হত্যা করিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করে বাংলাদেশকে একটা ভীতির রাজত্বে নিয়ে গেছেন। তাই শেখ হাসিনা এসব কারণে তিনি ছাত্র-শ্রমিক, শ্রমিকের আন্দোলনের মধ্যে পালিয়ে গেছেন।’
শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার কারণে দেশে স্বস্তি ফিরে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন দেশের জনগণ হাফ ছেড়ে বেঁচেছে। আমরা শান্তিতে দম নিতে পারছি। রাত্রে আরাম করে শুতে পারতেছি। আগে মনে হতো এই বুঝি পুলিশ আসলো। এই বুঝি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আসলো। এই জন্য মানুষ আনন্দ করে বলে ‘পলাইছে’ ‘পলাইছে’। শেখ হাসিনা পলাইছে।’’
শেখ হাসিনার অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পলাইছে এটা ঠিক, কিন্তু তার প্রেত্মাত্বা দেশে রয়ে গেছে। তারা চুরি-চামারি লুট করে দেশে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। দেশের বাইরে সম্পদ পাচার করেছে। দেশের ভিতরে বিরাট বিরাট বাড়িঘর, ব্যবসা তৈরি করে, খামার তৈরি করে লুটপাট করেছে। তাই হাসিনাকে তারা ভুলতে পারছে না। তারা ভাবছে আবার যদি শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনা যেতা। তাহলে আবার লুটপাট করা যেতো।’
দেশের বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। সবচেয়ে বড় ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করছে আমাদের পোশাক শিল্পে। পোশাক কারখানাগুলোতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন শ্রমিক কাজ করেন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে যত রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে পোশাক খাত থেকে এসেছে ৮৫ ভাগ। এই আয়ের পরিমাণ ৪৭.৩৮ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩ কোটি টাকা। আমদানী ব্যয় মেটানোর জন্য ডলার খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা চাচ্ছে আমাদের গার্মেন্ট খাত ধ্বংস করে তাদের আয় বাড়াতে।’