‘নির্দোষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাজা দেওয়ায় সরকার বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এর শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ লাখ লাখ নেতাকর্মী।’
আজ বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে নির্দোষ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সাজা দেওয়ায় সরকার বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এর শিকার হয়েছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মী। সাজানো ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী একের পর এক বিএনপির নেতাদেরকে গ্রেপ্তার, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে ভরে রাখা হচ্ছে। তার সর্বশেষ শিকার হলেন বিএনপির প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মী।
রিজভী আরো বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। নিজেদের নির্দয় দুঃশাসন ও কুৎসিত মাফিয়া শাসনের ঘটনা আড়াল করতেই আজ তড়িঘড়ি করে হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ বিএনপি নেতাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা অভিযোগে হাবিবসহ সাতক্ষীরার স্থানীয় নেতাদের নামে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দেওয়া হয়। অথচ সেদিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। আওয়ামী সরকার বিএনপিকে ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করার অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে।’
রিজভী বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় দীর্ঘ পাঁচ বছর কারাগারে বন্দি আছেন। প্রায় শতাধিক মামলায় জামিন হয়ে জেলখানা থেকে বের হওয়ার সময় শাহবাগ থানা মিথ্যা মামলায় জামিন হওয়ার পরেও বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কোতোয়ালি থানার মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখায়।
অবিলম্বে লায়ন আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ কারামুক্তির জোর দাবি জানান রিজভী।