জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জনবন্ধু গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, মনে হচ্ছে দেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংর্ঘষের আশংকা আছে। তিনি বলেন, দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে, সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই। যে দল সরে যাবেন সেই দলই যেন বিলীন হয়ে যাবে। আবার, যে দল পরাজিত হবে সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটা বড় ধরণের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে। লজ্জার বিষয় হচ্ছে, এতদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরী হয়, ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই যেন বড় ধরণের বিপদে পড়তে হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না। ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না। ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ, ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি, যারা নির্বাচনের সাথে জড়িত তারা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন। তাদের হাতে ইভিএমের রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বদলে দেয়া যায়।
আজ বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার নুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটি’র ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আবার মাদকের ব্যবসাই সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা। তাই দেখা যায় ব্যবসায়ী রাজনীতিবীদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। একারণেই, দেশে মাকদের বিস্তার কমছে না। তিনি বলেন, মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু মাদক নির্মল করা যায়নি। এখন চা ও মুদি দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।
এসময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, মাদকের বিস্তার রোধ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরিবার থেকেই মাদক প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা জাতিকে ধংস হতে দেবো না। জাতি রক্ষায় মাদকের বিস্তার রোধে পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠন করতে হবে।
মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটি’র সভাপতি সেলিম নিজামী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তৃতায় রাখেন, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ, জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ সুজন দে প্রমূখ। সভা পরিচালনা করেন মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটি’র মোঃ খসরু। উপস্থিত ছিলেন, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এম এ সোবাহান, আক্তার দেওয়ান সভাপতি যাত্রাবাড়ী থানা, এডভোকেট আবু তৈয়ব, মামুন মোল্লা-সভাপতি ডেমরা থানা, তকদির হোসেন সেন্টু-সাধারণ সম্পাদক যাত্রাবাড়ী থানা, মো: ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল- সাবেক সভাপতি জাতীয় ছাত্র সমাজ, শাহ- ইমরান রিপন-সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাতীয় ছাত্র সমাজ।