শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে চাকরি করতেন বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার চাকরি চলে যাওয়ায় মোদির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কে বাংলাদেশের শত্রু আর কে বন্ধু, সেটা বোঝার লিটমাস টেস্ট হচ্ছে ভারত কোন পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত জুলাই-আগস্ট গণ-আন্দোলনের প্রদর্শনী ঘুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ভারত যেহেতু হাসিনা এবং গণহত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে; বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত স্বৈরাচার শক্তিকে তার দেশে পুনর্বাসন করেছে; সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কারা বাংলাদেশের পক্ষে আর কারা বিপক্ষে।’
সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোদির হাতে সাম্প্রদায়িকতার রক্ত লেগে আছে। তিনি যখন তার প্রতিষ্ঠিত মিডিয়ায় বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ান; তখন গোটা বিশ্ব স্বভাবতই তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।’
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর এবং আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষ সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে; সংখ্যালঘুদের প্রতি আমাদের যে উদার মনোভাব রয়েছে- তার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ বিষয়গুলো বারবার তুলে ধরবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’