English

26 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৪, ২০২৪
- Advertisement -

ভারত ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচন নিশ্চিত করবে, আশা হাসিনাপুত্রের

- Advertisements -

বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলন সামলানোর ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে- স্বীকার করলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি স্বীকার করেন।

সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ বলেন, সরকারের উচিত ছিল প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং আরও আগেই কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমি মনে করি, আমাদের সরকারের উচিত ছিল কোটার বিরুদ্ধে কথা বলা এবং আদালতের হাতে বিষয়টি ছেড়ে না দিয়ে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা… কোটা কমাতে আমাদের সরকার সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। আদালত ভুল করেছেন এবং আমরা কোটা চাইনি বলে আমি জনসমক্ষে অবস্থান নিতে বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের সরকার তা করেনি, তাদের আশা ছিল, আদালত এটি দেখবে।

Advertisements

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ বিশ্বাস করেন, আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত। গত ১৫ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের অনেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। গত ১৫ বছরে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সফলতার কারণে বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া খুবই কঠিন। কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা-ই দেশে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার এবং বিক্ষোভকারীদের তা সরবরাহ করতে সক্ষম।

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে তার মায়ের বিদায়ের ২৪ ঘণ্টার ঘটনা বর্ণনা করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার একদিন আগেও তিনি বা হাসিনা কেউই অনুমান করেননি পরিস্থিতির অবনতি কতটা দ্রুত ঘটবে। সজীব ওয়াজেদ বলেন, তার মায়ের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছে ছিল না। তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছিলেন, প্রেসিডেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে জনগণের উদ্দেশে বিবৃতি দিতে চাচ্ছিলেন। তিনি বিবৃতি প্রস্তুত করছিলেন এবং তা রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সবকিছুই পরিকল্পিত ছিল। তিনি যখনই রেকর্ডিং শুরু করতে যান, তখন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বলেন, ‘ম্যাম, সময় নেই। আমাদের এখন যেতে হবে। ’

শেখ হাসিনা কোথাও যেতে অনড় ছিলেন। তবে তাকে রাজি করান বলে দাবি করেন সজীব ওয়াজেদ।

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে হাসিনা ভারতে রয়েছেন। ‘বাংলাদেশে পরিস্থিতি কেমন হয়, তা দেখার জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন। সম্ভবত, তিনি আপাতত ভারতে থাকবেন’, বলেন সজীব ওয়াজেদ।

Advertisements

শেখ হাসিনার অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে হেলিকপ্টারে যেতে হয়েছিল, তাই একমাত্র গন্তব্য ছিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদীর সরকারকে ধন্যবাদ, তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে… তার জীবন বাঁচিয়েছে এবং তাকে খুব নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে, যাতে তিনি নিরাপদ থাকেন। বিভিন্ন দেশে তার আশ্রয় আবেদনের কথা বলা হচ্ছে। এসব গুজব। এসব সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি কোথাও আশ্রয় আবেদন করেননি।

ভারতের প্রতি কী বার্তা, জানতে চাইলে সজীব ওয়াজেদ বলেন, তিনি দিল্লিকে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাবেন। তিনি বলেন, … বিশেষ করে এটি ভারতের দোরগোড়ায়… আমি আশা করব, ভারত এটি নিশ্চিত করবে, ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, অরাজকতা বন্ধ করা হবে এবং আওয়ামী লীগকে প্রচারণা ও পুনর্গঠনের অনুমতি দেওয়া হবে। যদি তা নিশ্চিত করা হয়, আমি এখনো নিশ্চিত, আমরা নির্বাচনে জয়ী হব… আমরা এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় দল।

ভারতে গিয়ে হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি সাক্ষাৎ করতে চান, তবে কবে যাবেন, সেই সম্পর্কে নিশ্চিত নন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন