ভারত সরকার বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ডুবিয়ে মারার ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর।
দেশের বেশ কয়েকটি জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বুধবার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় কুমিল্লা অঞ্চলে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। ভারত সরকার এ বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের কুমিল্লা অঞ্চলের মানুষকে ডুবিয়ে মারার ব্যবস্থা করেছে। এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারত সরকারের এ অমানবিক কাজে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গত কয়েক দিনে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ আরও কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নোয়াখালীর মাইজদীতে হাঁটুপানি জমেছে। জেলার ৯টি উপজেলার সবকটিতেই বসতঘর, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ লাখ মানুষ। গত ৫০ বছরে এত পানি দেখা যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।’
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘পানি বন্দিদের দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় দান এবং দুর্গত এলাকায় বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীসহ শুকনো খাবার, নগদ অর্থ, ওষুধ এবং চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসক দল পাঠানোর জন্য আমি সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
একই সঙ্গে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।