English

23 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

বিএনপির রাজনীতি পাকিস্তানি ভাবাদর্শের: ওবায়দুল কাদের

- Advertisements -

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির রাজনীতি হলো পাকিস্তানি ভাবাদর্শের উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার। তারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় উপসনালয়, বাড়ি-ঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সে সময়কার মন্ত্রী, এমপিদের সরাসরি নির্দেশে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছিল বিএনপির সন্ত্রাসীবাহিনী। তাদের পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে শিশু থেকে বৃদ্ধা কেউই রেহাই পায়নি। এখন নির্বাচন যত কাছে আসছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষের উপর প্রভাব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং পরোক্ষভাবে তাদের হুমকি দিচ্ছে।’

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাতের ক্যাডারবাহিনী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। সারাদেশে প্রায় ৫০ হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় এক রাতে বিএনপি ক্যাডারবাহিনী কর্তৃক ২০০ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শুধু নয়, বিএনপির সন্ত্রাসের শিকার হতে হয়েছে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। বিএনপি-জামাত অশুভ জোটের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আর অসংখ্য নেতাকর্মী ক্ষতের দগদগে চিহ্ন বহনের পাশাপাশি মানবেতর জীবযাপন করছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের বাবরি মসজিদের ঘটনার সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব নিজে মিথ্যাচার করেছেন। অথচ সে সময় বিএনপির ক্যাডারবাহিনী ও তাদের উগ্রসাম্প্রদায়িক দোসরদের হামলায় রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত হরেছিল বাংলাদেশ। হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয়, বাড়ি-ঘরের সুরক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। সে সময় শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই অসংখ্য মন্দির ভাংচুর ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর পৈচাশিক হামলা ও নির্যাতন করা হয়েছিল। শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ই নয় বিএনপি তখন সাধারণ মানুষের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি ধর্মকে পুঁজি করে এবং উগ্রসাম্প্রদায়িক অপশক্তির উপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার প্রমাণ ২০০১ পরবর্তী সময়েও পরিলক্ষিত হয়। তাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ জঙ্গি নেতার সৃষ্টি হয়েছিল; জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা এবং একসঙ্গে দেশের ৬৩টি জেলায় পাঁচ শতাধিক স্থানে সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। মির্জা ফখরুলরা যতই মিথ্যাচার করুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি শাসনামলে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সেই ভয়াবহ উত্থানের কথা ভুলে যায়নি।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও তাদের দোসর উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে পরাজিত করে অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল জাতিরাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শক্তিশালী ভীত রচিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ জাতি-লিঙ্গ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়। আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকারকে ধারণ করেই রাজনীতি করে আসছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, দেশের সকল নাগরিক সমান; সকলের ধর্ম পালনের সমান স্বাধীনতা ও অধিকার রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই নীতি অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছেন।’

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন