জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে দুই দিনের প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে।
আজ সোমবার বিকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব দলের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। গত ৩১ জুলাই ভোলার সমাবেশে পুলিশের গুলিতে দুই নেতার মৃত্যু এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
মির্জা ফখরুল জানান, বিএনপি ১১ আগস্ট ঢাকার নয়া পল্টনের কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে এবং ১২ আগস্ট সারা দেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদে সমাবেশ হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গত ৭ বছরে দেশ থেকে রপ্তানি হয়েছে ২৭০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? এটা জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভঙ্করেরে ফাঁকি, বিরাট একটা লুটের চিত্র। এই লুট ও চুরি যে শুরু হয়েছে এই লুট ও চুরি করে তারা দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। তাদের পতন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। যদি বিএনপি শক্তভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় এই সরকার এক মিনিট ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের সকলে রাজপথে থাকতে হবে। আমাদের সীমানা আটকিয়ে গেছে, প্রেস ক্লাব-বিএনপি অফিস। এর বাইরে যদি আমরা না যেতে পারি তাহলে কখনোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। আমাদের এর বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে, আমাদের মিছিলে নামতে হবে, আমাদের হরতালে যেতে হবে, আমাদের অবরোধে যেতে হবে- তাহলে সরকারের পতন ঘটবে, নইলে এই সরকারের পতন ঘটবে না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কর্মসূচিতে আমরা যদি হার্ড লাইনে না যাই এবং সরকারকেও আমরা আমাদের শক্তি প্রদর্শন না করি তাহলে সরকার সরকারের জায়গা থাকবে আর আমরা জনসভা করব, অগণিত মামলায় জর্জরিত হব। কিন্তু আমরা সরকার পতন ঘটাতে পারব না। আমি এখনো মনে করি, রাজপথে আন্দোলনে থাকার মতো শক্তি সাহস আমরা আছে, আমরা যখন আছে প্রত্যেকেরই আছে। গণতন্ত্র ও সংবিধান সম্মতভাবে অনেক কর্মসূচি আছে যে কর্মসূচি আমরা রাজপথে দিলে সরকারের বুক কেঁপে উঠবে। সেই কর্মসূচিতে যেতে হবে।
যুব দল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।