বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি অ্যাকশনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশি এই অ্যাকশনের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশে বাধাদানের পর কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনের ফুটপাতেই অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটা ভয়াবহ, ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা আশা করতে পারি না, একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর কারণ পুলিশের গুলিতে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাকে পাচ্ছে গ্রেফতার করছে।
অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে আমার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের লোকজন ঢুকছে, বের হচ্ছে। আমরা সন্দেহ করছি, তারা ভেতরে বোমা জাতীয় কিছু রেখে এর দায় আমাদের ওপর চাপাবে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ সামনে রেখে আজ সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষে মকবুল হোসেন নামে একজন মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়। আটক করা হয় রহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রথমে তাদের ওপর হামলা করেছে। এরপর পুলিশ আত্মরক্ষায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে।